-
- অপরাধ, জেলা সংবাদ, লিড নিউজ
- ঝিকরগাছায় রাতে রাস্তায় ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এক যুবককে মারপিঠ
- আপডেট সময় March, 30, 2022, 1:25 pm
- 228 বার পড়া হয়েছে
বিল্লাল হুসাইন।।-
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ১১ নং বাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নং বড় খলসী ওয়ার্ডের তুষার ইমরান (২০) পিতা হারুন অর রশিদ, বড় খলসি ,ঝিকরগাছা যশোর কে, ইমন (২৪) পিতা আব্দুল মজিদ। গত ১৮ মার্চ শুক্রবার রাত্র ০৯ টার দিকে তুষার কে ডেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মজিদের মেহগনি বাগানে নিয়ে লাঠি,রড,দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ওৎ পেতে বসে থাকা প্রভাব শালী সন্ত্রাসীরা তুষারকে এলোপাতাড়ি ভাবে মাথা ও শরীরে আঘাত করে, এক পর্যায়ে আঘাতে জর্জরিত হয়ে চিৎকার করলে পাশের লোকজন তুষার কে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় নিয়ে আসে, নিয়ে আসার সময় জন সম্মুখে তারা বলতে থাকে আজকে না পারলেও পরে তোকে দেখে নেব,প্রানে মেরে দেব তোকে, আরো ও বাজে কথা বলে হুমকী ধামকী দিতে থাকে বা এখন দিচ্ছে,এই বিষয়ে তুষারের মাতা জুলেখা খাতুন গত ২০ শে মার্চ ঝিকরগাছা থানায় কয়েক জনকে আসামী করে মামলা দায় করেছেন, তিনি বলেন,রাস্তা দিয়ে (রাস্তার জমি ব্যক্তি মালিকানা ধীন,সরকারী নয়)
টিউবয়েলের পানি যাওয়াকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় যথেষ্ট ওদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়,এর আগেও কয়েকবার ঝগড়া দ্বন্দ্ব হয়েছে, তারা প্রায়ই আমাদের সাথে সামান্য বিষয় নিয়ে ঝামেলা করে, কোন পুরাতন রাগের জের যেন রয়েই গেছে তাদের মনে, সন্ধ্যায় মিটে যাওয়ার পর রাতে আক্রোশ বশে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে। এই বিষয়ে তুষার বলেন, ইমন আমাকে রাতে রাস্তা থেকে আমাকে ডেকে নিয়ে আসে ও জোর করে মেহগনি বাগানে আটকায়ে বাশের লাঠি ও রড দিয়ে এলো পাতাড়ি ভাবে আমাকে মারধর করে ওদের নিকট দেশিয় অস্ত্র শস্ত্র দেখে এক পর্যায়ে আমি মাথায় আঘাত পাওয়ার পর অচেতন হয়ে পড়ি। আমাকে ডেকে নিয়ে এসে ইমন সহ তার সংঙ্গী ইব্রাহিম পিতা আব্দুল মজিদ তনজি স্বামী মজিদ,রাশিদা স্বামী ইব্রাহিম (ইব্রাহিমের ভাইপো) আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে বাশের লিঠি,দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনায় মাথায় আঘাত করে।
আর বলতে থাকে কোপ না দিয়ে জোরে মাথায় মার থেথলিয়ে দে পরে এমনি মরে যাবে, মারতে মারতে বলতে থাকে এক পর্যায় আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি।
এই বিষয়ে পুলিশের নিকট জানতে চাইলে পুলিশ বলেন, আমি স্পটে যেয়ে বাশের লাঠি ও রড দেখতে পাই, ওরা বলছিল এই যে দেখেন দা,কুপা, আছে, সেখানে লাঠি ও রড দেখছি কিন্তু নিয়ে আসেনি। মামলায় এজহার ভুক্ত আসামি গন,আব্দুল মজিদ (৪৫) পিতা বাদল। ইব্রাহীম (৪০) পিতা ফয়েজ উদ্দিন, ইমান আলী (২১) পিতা মজিদ।আলমগীর(৩৫) পিতা সিদ্দিক হোসেন।রাশিদা(৩৫) স্বামী ইব্রাহিম তনজি (৩৫)স্বামী মজিদ। মামলা নং ১৩-৫৮ ধারা ৩২৩ -৩২৫-৩০৭-৫০৬ উল্লেখিত।
এ জাতীয় আরো খবর